Thursday, October 23, 2025

প্রধান উপদেষ্টাকে যেসব বার্তা দিল জামায়াত

আরও পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে কয়েকটি বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিছু বিষয়ে আমাদের মতামত ও সরকারের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমরা দীর্ঘ আলোচনার পর সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য হয়ে একটি সনদ স্বাক্ষর করতে পেরেছি, এ কারণে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি, কিছু কিছু লোক আপনাকে (প্রধান উপদেষ্টাকে) বিভ্রান্ত করে। আপনার প্রতি আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু আপনার কিছু লোক আপনার পাশে আপনাকে বিভ্রান্ত করে। ওরা কোনো একটা দলের পক্ষে কাজ করে আমরা মনে করি। তাদেরকে, তাদের ব্যাপারে আপনাকে হুঁশিয়ার থাকা দরকার।

আরও পড়ুনঃ  জেলা বিএনপি নেতা ফয়জুল করিম যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে

বৈঠকে কোনো উপদেষ্টার অপসারণের দাবি তুলেছেন কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, আমরা প্রথম দিন দৃষ্টি আকর্ষণ করছি… আমরা প্রথমদিন যাইয়াই অপসারণ চাইনি। আমরা বলছি, আমরা এখন দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা সময় দিচ্ছি। আপনাকেও শুনতে দিচ্ছি। যদি না হয় তাহলে আমরা যা যা করার, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা চিন্তা করব।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো দাবি তোলা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে এখনো সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হচ্ছে। তার দল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোনো ব্যত্যয় না হলে অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে বলেও আশাবাদ জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  সচিবালয় অভিমুখে ইশরাক সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

জামায়াতে ইসলামীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন, এমন প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলছেন যে, উনি এগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করছেন এবং যেটা করতে হবে, সেটি উনি করবেন, ইনশা আল্লাহ।

এই জামায়াত নেতা বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর ৮০টির বেশি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি এবং সেসব বিষয়কে দ্রুত আইনি ভিত্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য যে বিষয়গুলো প্রয়োজন সেগুলোকে দ্রুত বাস্তবায়নের ঘোষণা দাবি করেছি।

তাহের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন এগুলো বাস্তবায়ন না হলে আলোচনার কোনো অর্থ থাকে না। আদেশের মাধ্যমে সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। এটা সংবিধানের অংশ নয়, তবে এরকম পরিস্থিতিতে সরকার প্রধান আদেশ দিতে পারেন। আশা করি উনি এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন। আমরা বলেছি, গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন দুটো ভিন্ন ভিন্ন জিনিস, আলাদা সময়ে হতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হলে নির্বাচনের অনেক বিষয়ে পরিবর্তন হবে। সে কারণে আগে অবশ্যই গণভোট হতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  আ.লীগ-যুবলীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

এর আগে আজ (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল।

জামায়াতের প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন– সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম, রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আযাদ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ